#বিষয়ঃ ইসলামে যৌ'নতা বিষয়ে কি বলে?
#বিষয়ঃ ইসলামে যৌ'নতা একটি স্বাভাবিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা বৈধ ও পবিত্র সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ইসলাম যৌ'ন সম্পর্ককে কেবল বৈধ বিবাহের মধ্যে অনুমোদিত করেছে এবং এটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা, পারস্পরিক অধিকার ও আনন্দের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।
#ইসলামে যৌ'নতার মূলনীতিগুলো:
1. বিবাহের মাধ্যমে বৈধতা: ইসলামে যৌ'ন সম্পর্ক কেবল বৈধ বিবাহের মাধ্যমে অনুমোদিত। বিবাহের বাইরে যেকোনো যৌ'ন সম্পর্ক (যেমন ব্যভিচার ও জিনা) কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
কুরআনে বলা হয়েছে:
"আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। এটি অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।" (সুরা আল-ইসরা: ৩২)
2. স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ও অধিকার: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌ'ন সম্পর্ক পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্মতির ভিত্তিতে হতে হবে।
কুরআনে বলা হয়েছে:
"তারা তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ এবং তোমরা তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ।" (সুরা আল-বাকারা: ১৮৭)
এই আয়াত দ্বারা বোঝানো হয় যে, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য সুরক্ষা, মর্যাদা ও সহযোগিতার প্রতীক।
3. পবিত্রতা ও শিষ্টাচার বজায় রাখা: যৌ'ন সম্পর্কের আগে ও পরে পবিত্রতা রক্ষা করা এবং ইসলামী শিষ্টাচার মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
রাসূল (সা.) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা, রোমান্স ও কোমল আচরণের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
4. অশ্লীলতা ও হারাম কাজ পরিহার: পর্নোগ্রাফি, হারাম সম্পর্ক, অশ্লীল কথা ও কাজ ইসলাম অনুমোদন করে না।
রাসূল (সা.) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি আমাকে দুই চোয়ালের মাঝের (জিহ্বা) এবং দুই পায়ের মাঝের (লজ্জাস্থান) সংরক্ষণের নিশ্চয়তা দেবে, আমি তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব।" (বুখারি, ৬৪৭৪)
5. গোপনীয়তা ও শালীনতা: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একান্ত ব্যক্তিগত, এটি অন্যদের সামনে প্রকাশ করা বা আলোচনা করা নিষেধ।
রাসূল (সা.) বলেছেন:
"কেয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি সেই হবে, যে রাতে তার স্ত্রী সহবাস করল এবং পরে সে এ বিষয়ে প্রকাশ করল।" (মুসলিম, ১৪৩৭)
6. পারস্পরিক আনন্দ ও অধিকার: ইসলাম স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের যৌ'ন অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় এবং পরস্পরের চাহিদা পূরণ করতে উৎসাহিত করে।
হাদিসে আছে, "তোমাদের কারো স্ত্রীর প্রতি যৌ'ন চাহিদা মেটানোও একটি সাদকা (সদকা বা নেক কাজ)।" (মুসলিম, ১০০৬)
#শেষকথাঃ ইসলামে যৌন'তা কেবল কামনা-বাসনার বিষয় নয়, বরং এটি ভালোবাসা, স্নেহ, পারস্পরিক সম্মান ও পরিবার গঠনের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ইসলাম যৌ'ন জীবনকে সুন্দর, শালীন ও পরিপূর্ণ করতে বিবাহের গুরুত্ব দেয় এবং হারাম কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা প্রদান করে।
0 Comments