কিডনি স্টোন (Kidney Stone) কী?
কিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথর হলো কঠিন খনিজ ও লবণের সঞ্চয়, যা কিডনির ভেতরে তৈরি হয়। এটি সাধারণত ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, ইউরিক অ্যাসিড বা ফসফেটের সমন্বয়ে গঠিত হয় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হতে পারে।
কিডনি স্টোনের কারণ
কিডনিতে পাথর হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যেমন:
- অপর্যাপ্ত পানি পান – পর্যাপ্ত পানি না খেলে খনিজ পদার্থ জমা হয়ে পাথর তৈরি হয়।
- অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটযুক্ত খাবার খাওয়া – দুগ্ধজাত খাবার, পালং শাক, চা, চকোলেট ইত্যাদি বেশি খেলে ঝুঁকি বাড়ে।
- অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ – বেশি পরিমাণে প্রাণিজ প্রোটিন খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়।
- অতিরিক্ত লবণ ও প্রসেসড ফুড খাওয়া – এতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, যা কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমিয়ে দেয়।
- পরিবারিক ইতিহাস – পরিবারের কেউ কিডনি স্টোনে আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বাড়ে।
- কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া – কিছু ওষুধ কিডনিতে পাথর তৈরির সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।
কিডনি স্টোনের লক্ষণ
কিডনি স্টোন ছোট হলে কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে, তবে বড় হলে নিচের সমস্যা দেখা দেয়:
✔ তীব্র পিঠ বা তলপেটের ব্যথা (Flank Pain)
✔ প্রস্রাবে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া
✔ প্রস্রাবে রক্ত আসা
✔ বমি বমি ভাব বা বমি
✔ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা ঘন ঘন প্রস্রাবের অনুভূতি
✔ জ্বর ও ঠান্ডা লাগা (সংক্রমণ হলে)
জটিলতা (Complications)
যদি কিডনি স্টোন সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা না হয়, তবে এটি গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে:
- কিডনি ইনফেকশন
- কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া
- প্রস্রাবের নালী বন্ধ হয়ে কিডনিতে ফুলে যাওয়া (Hydronephrosis)
- দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি
কিডনি স্টোন প্রতিরোধের উপায়
✔ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন (৮-১২ গ্লাস পানি পান করা উচিত)।
✔ অতিরিক্ত লবণ ও প্রোটিন গ্রহণ কমান।
✔ অক্সালেটযুক্ত খাবার (পালং শাক, চকোলেট, চা) কম খান।
✔ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন, তবে পরিমিত পরিমাণে।
✔ অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস ও ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।
✔ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং শারীরিক পরিশ্রম করুন।
#KidneyStone #KidneyHealth #KidneyStonePrevention #HealthTips #HealthyLife #UrinaryHealth #StayHydrated #KidneyCare #HomeopathyForKidney #NaturalRemedies
0 Comments