Ad Code

Responsive Advertisement

শিশুর ডায়রিয়া সারছে না?

শিশুর ডায়রিয়া সারছে না?



শিশুদের ডায়রিয়া সাধারণত বেশিদিন স্থায়ী হয় না। স্যালাইন (পানিশূন্যতা পূরণের জন্য), ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ এবং স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো হলে সাধারনত আর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। ১ সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে প্রায় সব বাচ্চাই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, ডায়রিয়া ভাইরাসজনিত হয় বলে অ্যান্টিবায়োটিকেরও খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না।

কিন্তু দুই সপ্তাহেও যদি ডায়রিয়া না সারে তবে ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়জনে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। অত্যন্ত সাবধানতার সাথে কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। যেমন- শিশুর ওজন কমে যাচ্ছে কি না অথবা শিশু পানিশূন্যতায় ভুগছে কি না। দীর্ঘসময় ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর ক্ষেত্রে, রোগের কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করতে হবে এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে।
দেড় মাস থেকে ৬ মাস বয়সের মধ্যে এক মাসের বিরতিতে ২ ডোজ রোটা ভাইরাস টিকা খাওয়ালে তা ডায়রিয়া থেকে ভাল সুরক্ষা দিতে পারে। পানি ও অন্যান্য খাবার বিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন উপায়ে তৈরি করা হচ্ছে কিনা অথবা পরিবেশন কিভাবে করা হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

যা সহজে হজম হয় না অথবা পায়খানা নরম করে, এমন কোন খাবার বা পানীয় শিশুকে খেতে দেবেন না।

শিশুর খাদ্যতালিকায় প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন, আমিষ, ক্যালরি ও খনিজ পদার্থ আছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
যেসকল শিশু মায়ের বুকের দুধ পান করে না, তাদের ক্ষেত্রে, গাভির দুধ অথবা ল্যাকটোজ সমৃদ্ধ খাবার যত কমিয়ে আনা যায় ততই ভাল।
ডায়রিয়া দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকলে এবং পায়খানার সঙ্গে রক্ত আসলে অথবা ওজন দ্রুত কমতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডায়রিয়া সেরে যাওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পরিপূরক হিসেবে জিংক ট্যাবলেট ১০ দিন সেবন করতে হতে পারে। শিশুর ডায়রিয়ার অবস্থা খুব খারাপের দিকে গেলে অর্থাৎ বারবার বমি হলে, ১০৩ ডিগ্রীর বেশি জ্বর হলে, পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা গেলে, শিশুর পায়খানায় রক্ত আসলে, অথবা কালো বর্ণের পায়খানা হলে আর দেরি না করে দ্রুত শিশুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়াই ভালো।

গরমে শিশুর ডায়রিয়া গরমের সময় শিশুর ডায়রিয়া মারাত্মক হতে পারে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় আপনার আদরের সন্তান খুব সহজেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার বা এর চেয়ে বেশি পাতলা পায়খানা হলে তাকে ডায়রিয়া বলে চিহ্নিত করা হয়। । সে সকল শিশু মায়ের বুকের দুধ পান করে, তারা বারবার নরম পায়খানা করতে পারে, সেটি কিন্তু ডায়রিয়া নয়। মনে রাখতে হবে, যদি মলের তুলনায় পানির পরিমান বেশি হয় তখনই বুঝতে হবে শিশুটি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষ করে গরমে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে পানি ও খনিজ লবণ বের হয়ে যায় এবং শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়, যাকে পানিশূন্যতা অথবা পানিস্বল্পতা বলা হয়।

একটু সাবধান হলে খুব সহজেই ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা যায়। একটু লক্ষ করুন- গরমে প্রচুর ঘামের কারণে শিশুর অনেক বেশি পানি পিপাসা লাগে। বিশুদ্ধ পানি ভালভাবে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে পান করতে দিতে হবে। গরমে খাবার বেশিক্ষণ ভাল থাকে না। অসাবধানতাবশত আপনার অজান্তেই কিন্তু পচা অথবা বাসি খাবার খাওয়াচ্ছেন আপনার শিশুকে, সাবধান হতে হবে। যেসকল রোগজীবাণু ডায়রিয়ার জন্য দায়ী, গরমে তাদের বংশবৃদ্ধিও অনেক বেশি হয়, তাই আপনার ঘরকে অবশ্যই সবসময় জীবাণুমুক্ত রাখতে সচেষ্ট হন।

গরমের সময় শিশুকে বেশি বেশি খাওয়ার স্যালাইন ও তরল খাবার, যেমন- ভাতের মাড়, ডাবের পানি, ঘোল, টকদই, ফলের রস ও লবণ-গুড়ের শরবত খেতে দিতে পারেন। স্যালাইনের কাজ কিন্তু ডায়রিয়া বন্ধ করা নয় এটি শুধুমাত্র শরীরের পানি ও লবণের শূন্যতা পূরণ করে। প্রতিবার পায়খানার পর ১০ থেকে ১৫ চামচ খাবার স্যালাইন আপনার শিশুকে খেতে দিন। অবশ্যই মনে রাখবেন, স্যালাইন ধীরে ধীরে খাওয়াতে হবে এবং এক এক চামচ করে সময় নিয়ে খাওয়াতে হবে।

শিশুকে অন্যান্য খাবার সঠিকভাবে দিতে হবে। সব রকমের খাবার, যেমন- খিচুড়ি, মাছ, মাংস, ডাল, ভাত, ডিম, কলা, ফলের রস, সবজি ইত্যাদি সবকিছুই শিশু খেতে পারবে।

খাবার রান্না করার সময় অবশ্যই সয়াবিন তেল দিবেন। কাঁচকলা ডায়রিয়ার তীব্রতা কমাতে উপকারি। তাজা ফলের রস পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণে সহায়ক। চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ শিশুকে খাওয়াবেন না। ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতার কারনে ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। সঠিক ধারনা থাকলে এবং একটু সাবধান হলে ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতা খুব সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

#চর্ম | #যৌ'ন | #মানসিক | #শ্বাসকষ্ট |
#ক্যান্সার | #ব্যথা ও স্ত্রীরোগসহ |
#হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অভিজ্ঞ!

ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম (রফিক)
বিএইচএমএস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
(ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি)
সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ঢাকা। #গভ. রেজিঃ এইচ - ১৬৭৭

#প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকঃ)  
1) সুসার হোমিওপ্যাথিক স্কুল 
2) সুসার মেডিকেল সার্ভিসেস 
3) ইয়ালাম হোমিওপ্যাথিক চেম্বার 

#চেম্বারঃ)  সুসার হোমিওপ্যাথিক ক্লিনিক  
SUSAR Homoeopathic Clinic 
                                 
#যেকোন রোগ বিষয়ক বিস্তারিত জানতে ও
চিকিৎসা পরামর্শ নিতে সরাসরি যোগাযোগ মাধ্যমঃ)

🤙 01703862490 (imo/WhatsApp)

★ইমেইলঃ) 
drrafiqchamberbd@gmail.com
★ফেসবুক পেজঃ)
https://www.facebook.com/DrRafiqulbhmsbd
★ইউটিউব চ্যানেলঃ)
https://www.youtube.com/@DrRafiqChamber

#বিশেষ বার্তাঃ) 
1) অনলাইনেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
2) সবসময় রেজিস্ট্রার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
3) নিজে সুস্থ থাকুন। পরিবারকে সুস্থ রাখুন। 
=) ধন্যবাদ।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu